২০২৪ সালে সরকারি চাকরিতে কি কি কাগজ লাগে

সরকারি চাকরিতে নিয়োগ প্রদান করা হয় মূলত সকারের হয়ে রাষ্ট্রের এবং জনগণের সেবা করার জন্য । সরকারি চাকরি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি গুলো বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক, ওয়েবসাইট, বা বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে প্রকাশিত হয়। বর্তমানে চলমান সকল সরকারি চাকরির নিয়োগ প্রক্রিয়ায় লিখিত পরীক্ষা, ইন্টারভিউ দিয়ে চাকরিতে যোগদান করতে হয়। আর ইন্টারভিউ বোর্ডেই মূলত আর্টিকেলটির প্রাসঙ্গিকতা আসে। অর্থাৎ ‘সরকারি চাকরিতে কি কি কাগজ লাগে‘ এই বিষয়টি আসে। আমরা এই আলোচনায় এই বিষয়টি সবিস্তরে তুলে ধরবো।

বাংলাদেশে সরকারি চাকরি গত এক দশক থেকে ক্যারিয়ারের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশে পরিণত হয়েছে । কারণ সরকারি চাকরি গুলো ব্যক্তি জীবনের পাশাপাশি দেশের অর্থনৈতিক এবং সামাজিক উন্নতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সরকারি চাকরির একটি শক্তিশালী দিক হলো এটি মেধাবী জনগোষ্ঠীকে দ্রুত অর্থনৈতিক ভাবে উন্নত এবং সমাজের সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিত্বে পরিণত করে। তাই বর্তমানে সরকারি চাকরি সর্বোপর্যায়ের মেধাবীদের প্রথম পছন্দে পরিণত হচ্ছে।

আরও পড়ুন :

সরকারি চাকরির নিয়োগ প্রক্রিয়া:

প্রতিটি সরকারি চাকরিরই সাধারণত কিছু কমন নিয়োগ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নিয়োগ সম্পূর্ণ করে থাকে। সাধারণভাবে, সরকারি চাকরির জন্য প্রথমে একটি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এই বিজ্ঞপ্তি গুলোতে চাকরির পদের বিবরণ, শিক্ষাগত যোগ্যতা, পদ সংখ্যা আবেদনের সময়কাল এবং আবেদনের অন্যান্য শর্ত গুলো উল্লেখ করা হয় । অতঃপর, আগ্রহী প্রার্থীদের অনলাইন অথবা অফলাইনে চাকরির আবেদন পত্র জমা দেওয়া বা অনলাইনে আবেদন করার মাধ্যমে উক্ত চাকরিতে আবেদন করেতে হয়।

সরকারি চাকরিরতে আবেদন করার সময় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির শর্ত গুলো ভালো ভাবে অনুসরণ করতে হয়, প্রয়োজনীয় যোগ্যতা পূরণ করতে হয় এবং নির্ধারিত সময়ে আবেদন জমা দিতে হয়। অন্যথায় আবেদনটি বাতিল বলে বিবেচিত হয়।

সঠিক ভাবে আবেদন করা সম্পূর্ণ হয়ে গেলে পরবর্তীতে উক্ত মন্ত্রণালয় বা বিভাগ প্রার্থীকে লিখিত পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করার জন্য নির্ধারিত দিনে ডাকা হয়।

নির্ধারিত দিনে পরীক্ষা দেওয়ার জন্য প্রার্থীকে উপস্থিত হতে হয়। সেখানে প্রার্থীকে সর্বপ্রথম বাংলা, ইংরেজি, গণিত, সাধারণ জ্ঞানের উপর একটি MCQ পরীক্ষা দিতে হয় । পরবর্তীতে MCQ পরীক্ষায় উত্তীর্ন প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করা হয় । এবং উত্তীর্ন প্রার্থীদের পরবর্তী একটি নিদিষ্ট তারিখে লিখিত পরীক্ষার জন্য ডাকা হয় ।

সেখানে বাংলা, ইংরেজি, গণিত, সাধারণ জ্ঞানের উপর একটি লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হয়। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ন প্রার্থীদের পরবর্তীতে নিদিষ্ট দিনে ভাইভায় অংশ গ্রহণ করতে হয় । ভাইভায় উত্তীর্ন প্রার্থীদের পুলিশ ভেরিফিকেশনের পর ফাঁকা পদের বিপরীতে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করা হয়। কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া বাংলাদেশের মোটামুটি সকল নিয়োগ এভাবেই সম্পূর্ণ হয়ে থাকে।

আরও পড়ুন : দরখাস্ত লেখার নিয়ম ও নমুনা ২০২৪ [Updated নিয়ম]

সরকারি চাকরিতে কি কি কাগজ লাগে ?

আমরা উপরে সরকারি চাকরির নিয়োগ প্রক্রিয়া সংক্ষিপ্ত আকারে উল্লেখ্য করেছি। এই দীর্ঘ নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বিভিন্ন ধাপে বিভিন্ন ধরণের কাগজ পত্রের প্রয়োজন হয়। কিছু ক্ষেত্রে শুধু মাত্র প্রয়োজনীয় সনদ গুলো দেখানোর প্রয়োজন হয় এবার কিছু ক্ষেত্রে জমা দেওয়ার প্রয়োজন হয়। নিচে আমরা সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে কি কি কাগজ জমা দিতে হয় বা প্রয়োজন হয় তা তুলে ধরার চেষ্টা করবো।

সরকারি চাকরির আবেদন করতে কি কি কাগজ লাগে:

সরকারি চাকরির নিয়োগ প্রক্রিয়ার প্রথম ধাপ হচ্ছে আবেদন। এই ধাপে কোন প্রকার কাগজ পত্র জমা দিতে না হলেও কিছু কিছু কাগজ পত্র অবশ্যই আপনার কাছে থাকতে হবে। e.g. সকল শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্র বা মার্ক শিট, জন্ম নিবন্ধন বা জাতীয় পরিচয় পত্র এবং সদ্য তোলা রঙিন ছবি।

কারণ আপনি যখন কোন সরকারি চাকরিতে আবেদন করতে যাবেন তখন আপনার সকল তথ্য আপনার শিক্ষা সনদ এবং জন্ম নিবন্ধন বা জাতীয় পরিচয় পত্র অনুসারে হতে হবে। আপনার আবেদন পত্রের তথ্য যদি শিক্ষা সনদ এবং জন্ম নিবন্ধন বা জাতীয় পরিচয় পত্র অনুসারে না হয় তাহলে আপনার আবেদন পত্রটি বাতিল বলে গণ্য হবে। এমনি কি ক্ষেত্র বিশেষে আপনার বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপও নেওয়া হতে পারে। তাই আবেদন পত্র পূরণের সময় অবশ্যই সকল শিক্ষা সনদ এবং জন্ম নিবন্ধন বা জাতীয় পরিচয় সাথে রেখে সে অনুসারে আবেদন পত্র পূরণ করতে হবে।

আবেদনপত্রের এবং নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখিত শর্ত গুলো সাধারণত দেখা হয় ভাইভার সময়। আর এই সময়ই সকল শিক্ষাগত যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা এবং অন্যান্য সনদের মূল কপি দেখাতে হয় এবং প্রথম শ্রেণীর গ্যাজেটেড কর্মকর্তা দ্বারা সত্যায়িত কপি জমা দিতে হয়।

সরকারি চাকরির ভাইভাতে কি কি কাগজ লাগে:

সরকারি চাকরিতে কি কি কাগজ লাগে

নিম্নে সরকারি বা চাকরির ভাইভাতে কি কি কাগজ লাগে তার তালিকা প্রদান করা হলো। সরকারি চাকরির জন্য আপনাকে সাধারণভাবে নিম্নলিখিত এই কাগজপত্র গুলোই জমা দিতে হবে :

সরকারি চাকরির আবেদন ফরম:

Online -এ সফল ভাবে আবেদন সম্পূর্ণ করার পর আপনার ছবি, ব্যক্তিগত তথ্য, যেমন নাম, পিতার নাম, ঠিকানা, শিক্ষাগত যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা ঠিকানা ইত্যাদি সম্বলিত যে ফর্ম টি (Applicant’s copy) ডাউনলোড বা প্রিন্ট করেছেন সেটি জমা দিতে হবে।

লিখিত পরীক্ষার প্রবেশপত্র :

যখন কোন সরকারি চাকরির জন্য পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়, তখন পরীক্ষার পূর্বেই প্রার্থীদের প্রবেশপত্র দেওয়া হয়। ভাইভার সময় সেই প্রবেশ পত্রটি জমা দিতে হবে। এবং সেখানে অবশ্যই পরীক্ষা হলের এক্সামিনারের স্বাক্ষর থাকতে হবে।

শিক্ষাগত যোগ্যতা সনদপত্র (সার্টিফিকেট):

সরকারি চাকরির জন্য সকল শিক্ষাগত যোগ্যতা সনদ পত্রের ফটোকপি প্রথম শ্রেণীর গ্যাজেটেড কর্মকর্তা দ্বারা সত্যায়িত করে ভাইভার সময় জমা দিতে।

জন্ম সনদপত্র বা জাতীয় পরিচয় পত্র :

আপনার জন্ম তারিখ এবং স্থায়ী ঠিকানা ও অন্যান্য তথ্য সম্বলিত জন্ম সনদ বা জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি প্রথম শ্রেণীর গ্যাজেটেড কর্মকর্তা দ্বারা সত্যায়িত করে জমা দিতে হবে।

পাসপোর্ট সাইজ ছবি:

সরকারি চাকরির ভাইভা তে সদ্য তোলা পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি প্রথম শ্রেণীর গ্যাজেটেড কর্মকর্তা মাধ্যমে সত্যায়িত করে জমা দিতে হবে। ক্ষেত্র বিশেষে স্ট্যাম্প সাইজের ছবিও দিতে হতে পারে।

নাগরিকত্ব সনদপত্র :

সরকারি চাকরির ভাইভার সময় প্রার্থী যে ইউনিয়ন/পৌরসভা-এর স্বায়ী বাসিন্দা সে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান/পৌরসভার মেয়র/কাউন্সিলর কর্তৃক প্রদত্ত নাগরিকত্বের সনদপত্র ভাইভা বোর্ডে জমা দিয়ে হবে।

কোটার সনদ :

ভাইভা বোর্ডে মহিলা কোটা ব্যতীত মুক্তিযোদ্ধা কোটা, প্রতিবন্ধী কোটা সহ অন্যান্য সকল কোটা দাবির সমর্থনে প্রার্থীকে যথাযথ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রদত্ত সনদ/প্রমাণপত্রের প্রথম শ্রেণীর গ্যাজেটেড কর্মকর্তা মাধ্যমে সত্যায়িত ফটোকপি জমা দিতে হবে।

চারিত্রিক সনদ:

ভাইভার সময় প্রার্থী যে  ইউনিয়ন/পৌরসভা-এর স্বায়ী বাসিন্দা সে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান/পৌরসভার মেয়র/কাউন্সিলর/ প্রথম শ্রেণীর গেজেটেড কর্মকর্তা প্রদত্ত চারিত্রিক সনদপত্র ভাইভায় জমা দিতে হবে।

অনুমতিপত্র:

প্রার্থী যদি অন্য কোন সরকারী, আধা সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে কর্মরত থাকেন এবং এই নিয়োগের ভাইভার জন্য মনোনীতি হোন তাহলে ভাইভা বোর্ডে প্রার্থীকে অবশ্যই যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতিপত্র প্রদান করতে হবে।

এছাড়াও, বিভিন্ন চাকরি ভেদে, অভিজ্ঞতা, দক্ষতা, কম্পিউটার সার্টিফিকেট ইত্যাদির মত আরও কিছু কাগজ পত্রের প্রয়োজন হতে পারে। সেই ক্ষেত্রে ভাইভায় যাওয়ার আগে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিটি ভালোভাবে দেখে নিতে হবে।

সরকারি চাকরির ধরণ :

পূর্বে বাংলাদেশে সরকারি চাকরীজীবিদের চারটি ভাগে ভাগ করা হতো । ১. প্রথম শ্রেণীর গ্যাজেটেড কর্মকর্তা ২. দ্বিতীয় শ্রেণীর গ্যাজেটেড না নন গ্যাজেটেড কর্মকর্তা ৩. তৃতীয় শ্রেণীর সাধারণ কর্মকতা এবং ৪. চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী। বর্তমানে সকল সরকারি চাকরিজীবীদের ১ম – ২০তম গ্রেডে ভাগ করা হয়। যা নিয়ে আমরা অন্য কোন আলোচনায় কথা বলতে পারি।

একই ভাবে বাংলাদেশে সকল সরকারি চাকরি গুলোকেও কয়েকটি ভাবে ভাগ করা যায়। এগুলোর মধ্যে উল্লেখ যোগ্য কিছু হলো :

  • সিভিল সার্ভিস: সিভিল সার্ভিস কর্মকর্তারা মূলত সেবা মূলক কাজের সাথে সম্পিক্ত। যেমন : অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সেবা, পুলিশ সেবা, ভূমি সেবা এবং অন্যান্য বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সেবা মূলক পদ গুলো এর অন্তর্ভুক্ত থাকে।
  • বেতার ও টেলিকম সেবা: বেতার, টেলিভিশন, টেলিকম এবং মিডিয়া সম্পর্কিত পদ গুলো এই ক্যাটাগরির অন্তর্ভুক্ত।
  • রেলওয়ে সেবা: বাংলাদেশ রেলওয়ের সাথে সম্পিক্ত চাকরি গুলোই মূলত রেলওয়ে সেবার অন্তর্ভুক্ত।
  • ব্যাংকিং সেবা : দেশের সরকারি কমার্সিয়াল ব্যাংক, কৃষি ব্যাংক, প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক সহ সকল সরকারি বাংকের সাথে সম্পর্কিত পদ গুলো এই বিভাগে অন্তর্ভুক্ত।
  • শিক্ষকতা : দেশের সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, সরকারি কলেজ, সরকারি স্কুল, এমপি ভুক্ত কলেজ এবং স্কুলের শিক্ষক গণ এই বিভাগের অন্তর্ভুক্ত।
  • চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য সেবা: সরকারি মেডিকেল, বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ, বিভিন্ন হাসপাতালের চিকিৎসা সেবার সাথে যুক্ত ডাক্তার এবং নার্স গণ এই সেবার অন্তর্ভুক্ত।
  • প্রকৌশল সেবা: LGED থেকে শুরু  করে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে যারা প্রকৌশলী হিসাবে কর্মরত আছেন তারাই মূলত এই বিভাগের অন্তর্ভুক্ত।

সরকারি চাকরির সুযোগ সুবিধা :

  • নিশ্চয়তা : সরকারি চাকরি সাধারণভাবে স্থায়ী হয়, যা একজন ব্যক্তির স্বায়ী আয় ও নিয়মিত সুবিধা নিশ্চিত করে।
  • বিভিন্ন ধরণের ভাতা : সরকারি চাকরি প্রাপ্ত একজন কর্মকর্তা বা কর্মচারীরা বাড়ি ভাড়া, চিকিৎসা ভাতা, শিক্ষা ভাতা ইত্যাদির মত বিভিন্ন ভাতা এবং সুযোগ সুবিধা ভোগ করতে পারে।
  • প্রমোশন : সরকারি চাকরি গুলোতে সাধারণভাবে আপনার যোগ্যতা অনুসারে অনেক উপর পর্যন্ত পদন্নতির সুযোগ পাবেন। এছাড়াও পেশাদার স্কিল এবং অভিজ্ঞতা লাভেরও করার সুযোগ পাওয়া যায়।
  • সুবিধাজনক কাজ পরিবেশ: সরকারি চাকরির বেতন, সুবিধা এবং কাজ পরিবেশ সাধারণভাবে বেসরকারি চাকরির তুলনায় বেশ সুবিধাজনক থাকে।
  • সামাজ সেবা: সরকারি চাকরি সাধারণভাবে সামাজিক ভাবে বিভিন্ন ধরনের সামাজ সেবা মূলক কাজ করার সুযোগ প্রদান করে, যা সেবার্থে সন্তুষ্টি এবং গর্বের কারণ হতে পারে।

শেষ কথা :

সরকারি চাকরি গুলো কর্মকর্তা, কর্মচারীদের জন্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামো, যেমন পেনশন, স্বাস্থ্যসেবা, পারিবারিক সুবিধা ইত্যাদি নিশ্চিত করে থাকে। যার ফলে অধিকাংশ চাকরি প্রার্থীরা সরকারি চাকরিকে তাদের প্রথম পছন্দ হিসাবেই বিবেচনা করে। আর এই সরকারি চাকরির নিয়োগ প্রক্রিয়া, সুযোগ সুবিধা সহ আবেদন ও সরকারি চাকরিতে কি কি কাগজ লাগে সেই সম্পর্কে একটি স্পষ্ট ধারনা দিতে মনে হয় সফল হয়েছি। এই রকম তথ্য বহুল আর্টিকেল পেতে আমাদের সাথেই থাকুন।

Leave a Comment