চাকরির পরীক্ষা গুলো হচ্ছে এক একটি মহা যুদ্ধ। বিশেষ করে প্রিলিমিনারি পরীক্ষা। প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ চাকরী প্রত্যাশী একটি চাকরির আশায় এই মহা যুদ্ধে উত্তীর্ন হচ্ছেন। চাকরী প্রত্যাশীদের প্রতিটি মার্ক মহা মূল্যবান। কারণ ০.২৫ মার্কও কোন প্রার্থীর জীবন বলদে দিতে পারে আবার অন্ধকার করে দিতে পারে। তাই চাকরী প্রত্যাশী সকলেই নিয়োগ পরীক্ষা গুলোতে চেষ্টা করেন যথা সম্ভব সঠিক এবং নির্ভূল উত্তর দেওয়ার। তবে প্রশ্ন পত্রে মাঝে মাঝে এমন সব প্রশ্ন পরিলক্ষিত হয় যেগুলোর উত্তর কোনটিই সঠিক দেওয়া নেই। আর তখনই চাকরি প্রার্থীরা সেই সকল প্রশ্ন নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। এই আলোচনায় আমরা কথা বলল চাকরির প্রিলি পরীক্ষার প্রশ্নে ভুল থাকলে করণীয় কি তা নিয়ে। চলুন তাহলে শুরু করা যাক।
প্রিলি পরীক্ষার প্রশ্নে ভুল থাকলে করণীয়:
মানুষ মাত্রই ভুল। কেউই ভুলের ঊর্ধ্বে নয়। তাই যারা নিয়োগ পরীক্ষা প্রিলিমিনারি পরীক্ষার প্রশ্ন তৈরি করেন তাদেরও মাঝে মাঝে ভুল হয়। আর আপনি যদি এমন ভুল প্রশ্নের সম্মূখিন হন তাহলে আপনার করনীয় কি সেটা জানার আগে পিএসপি প্রিলি পরীক্ষার প্রশ্নে ভুল থাকলে কি করে সেটা জানা জরুরি।
প্রিলি পরীক্ষার প্রশ্নে ভুল থাকলে পিএসসি কি করে :
সম্প্রতি ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ইংরেজি তারিখে ৪৬ তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়ে গেল। মূলত তার পর থেকে স্যোসাল মিডিয়ায় এই বিষয়টি সামনে আসে যে প্রিলি পরীক্ষার প্রশ্নে ভুল থাকলে পিএসসি কি করে? যদিও এই প্রিলি পরীক্ষায় কোন ভুল প্রশ্ন এখন পর্যন্ত দৃষ্টি গোচর হয়নি। তবে এর প্রেক্ষিতেই প্রথম আলো এর উত্তর খুঁজতে মাঠে নামে। প্রথম আলোর সাংবাদিক যোগাযোগ করেন পিএসসির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ক্যাডার) আনন্দ কুমার বিশ্বাসের সাথে, তিনি প্রথম আলোকে জানান “যদি ভুল পাই, তাহলে সেই প্রশ্নের নম্বর কাটা হয় না। সবাই নম্বর পান। এবারও যদি এমন হয়, তাহলে সবাইকে ভুল প্রশ্নের জন্য নম্বর দেওয়া হবে। সেটিতে যে অপশনেই টিক মার্ক দিক না কেন, তা দেখা হয় না। কেউ বঞ্চিত হন না। সবাই মার্কস পান।”
আপনার করণীয় :
পিএসসির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক যে কথাটি বলেছেন সেটি মূলত বিসিএস এবং পিএসসির অধীন নেওয়া পরীক্ষার গুলোর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। আর ভুল প্রশ্ন গুলো মূলত অভিযোগ ওঠার পর তদন্ত করে দেখা হয়। সত্যতা পাওয়া গেলে সকলেই মার্ক পান। কিন্তু যদি কোন পরীক্ষার প্রশ্নে অভিয়োগ না ওঠে তখন কি হবে? কারণ পিএসসি শুধু বিসিএস না অনেক নিয়োগ পরীক্ষা নিয়ে থাকে। আর বিসিএস ভিন্ন অন্য নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন এইভাবে বিশ্লেষিত হয় না। সুতরাং সেই ক্ষেত্রে আপনার করণীয় কি হবে?
যেহেতু একজন চাকরী প্রত্যাশী শুধু পিএসসির অধীনই পরীক্ষা দেন না বিভিন্ন মন্ত্রনালয়, বুয়েট ইত্যাদির অধীন পরীক্ষা দেন সেহেতু উত্তম হচ্ছে ভুল প্রশ্নের উত্তর না দেওয়া। কারণ অন্যন্য মন্ত্রনালয় বা বুয়েট ভুল উত্তরের জন্য সকলে মার্ক দেয় এটি তারা নিশ্চিত করে না। আর পিএসসিও অভিযোগ এবং তদন্তের ভিত্তিকে সকলে মার্ক দেন। তাই অভিযোগ বা তদন্ত না হলে আপনার মার্ক কাটা যাওয়ার সম্ভাবনা ১০০%। এই নিরাপদ এবং বুদ্ধিমানের কাজ হলো এইসব ভুল প্রশ্নের উত্তর না দেওয়া।
শেষ কথা :
নিয়োগ পরীক্ষায় প্রতিটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই কোন ভাবেই যেন কোন মার্ক কাটা না যায় সে দিকে লক্ষ্য রাখা উচিত। আর নিয়োগ পরীক্ষার OMR শিট মেশিনের মাধ্যমে কাটা হয়। তাই ভুল প্রশ্নের ক্ষেত্রে তারা যে উত্তর সেট করে রেখেছে আপনি সেই উত্তর না দিলে মেশিন ওই প্রশ্নকে ভুল বলে গণ্য করবে। আপনি মার্ক তো পাবেনই না উল্টো আপনার মার্ক মাইনাস হবে। তাই সাবধানটাই সর্বোত্তম প্রন্তা।আশা করি এই আলোচনার মাধ্যমে প্রিলি পরীক্ষার প্রশ্নে ভুল থাকলে পিএসসি কি করে, প্রিলিমিনারি পরীক্ষার প্রশ্নে ভুল থাকলে আপনার করণীয় কি সেটা পরিষ্কার হয়েছে। এই দরকারী সব নিউজ, পোস্ট ও টিপস পেতে আমাদের সাথেই থাকুন।